ভালবাসার শেস ইতিহাস অমর ভালবাসা
পাগল Love Love
মেয়েটির নাম ছিলো্ .... জেরিন। দশম শ্রেণীতে পড়তো .তার নামটা যেমন সুন্দর,সে দেখতেও ভারি মিষ্টি মেয়ে। সে রোজ বোরকা পরে বাসা থেকে বের হতো। স্কুল কলেজ এমনকি শপিং করতেও সে বোরকা পড়ে যেতো। অদ্ভুত একটা বিষয় হলো, তার বাবা মা নিজের পরিবার ছাড়া তাকে আর কেউ দেখেনি। Asif Writer

জেরিন তো বোরকা পড়তো....সে কেমন দেখতে সাদা না ফর্সা বা কালো যেমনি হোক না কেনো।তাকে না দেখেই তার প্রেমে পড়বে......এমন কোন ছেলে আছে বলে মনে হয় না। কিন্ত.....আছে একজন। তার নাম শান্ত। সাথে একই স্কুলে পড়ে।
স্কুলের কোন ছেলে জেরিনের দিকে খেয়াল না করলেও..... শান্ত জেরিনের পেছনে ছায়ার মতো লেগেই থাকতো। আর রোজ একটা করে গোলাপ তাকে উপহার দিতো। কিন্ত,,, জেরিন তার দেয়া গোলাপটাকে পায়ের তলায় ফেলে,,পা দিয়ে পিসিয়ে চলে যায়। এ ঘটনা আজ থেকে নয়,,দেড় বছর় থেকে। অনেক আগে একবার, জেরিন তাকে বলেছিলো, তার এই পাগলামি কেনো..... কিন্ত.....শান্ত ভালবাসি কথাটা বলার সাহস পাই নি।তার কিছু ভয় ছিলো.....আজ গোলাপটাকে পিসিয়ে যে চলে যাচ্ছে।তাকে ভালবাসি কথাটা বলবে কি করে।
বরং সে কথাটা বললে, জেরিনের সাথে বন্ধুত্য টা নষ্ট হয়ে যাবে,সে যতটুকু কাছে আছে সেটুকুও তাকে আর পাওয়া যাবে না। writer Asif
শান্ত আজ গোলাপ হাতে নিয়ে আসে। স্কুলের শত মানুষের সামনে জেরিন কে প্রোপজ করে।কিন্ত,,, জেরিন সে সময় অনেক রেগে যায় তার বামহাত দিয়ে কষিয়ে একটাচড় মারে। এরপর শান্ত কে বলছে..... জেরিন: এই ছেলে তোমার এত সাহস হলো কিভাবে শান্ত: ভালবাসার জন্য সাহস লাগে না। শুধু সেই মানুষটির প্রতি আস্থা থাকতে হয়। আর তার জন্য নিজের বুকে অনেক খানি ভালবাসা থাকতে হয়। জেরিন: এই ছেলে তুমি আমাকে কখনো দেখেছো। শান্ত: না। জেরিন: তাহলে ভালবাসলে কিভাবে? শান্ত: মন দিয়ে। জেরিন: কি?আমি দেখতে অনেক কালো সে জন্য বোরকা পরে কলেজে আসি। এই সামান্য বিষয়টা তোমার মাথায় ঢুকলো না। শান্ত:আপনি কালো হলে আমার কিছু যায়আসে না।আমি জেরিনকে ভালবাসি আর জেরিন দেখতে কেমন হয় সেটা আমার ভালো জানা আছে। জেরিন:এবার কিছুটা ভেবে বলছে, সত্যি আমি দেখতে খারাপ। স্কুলে আমার থেকে অনেক ভালো মেয়ে আছে। তুমি তাদের ভালবাসো আর আমার পিছনে পরে থেকোনা।সামনে তোমার উজ্জল ভবিষ্যত সেটা নিয়ে ভাবো। শান্ত:আমার ভবিষ্যত আমি তখনি ভাববো যখন আমার ভালবাসা তুমি গ্রহন করবে। শান্ত: সেটা কোনদিনও সম্ভব না। আর কিছু না বলে স্কুল থেকে চলে যায়।এবং জেরিন বিষয়টা সে ভাবতেথাকে। writer Hakikur Rahman
আজ এক মাস হয়ে গেলো, জেরিন আর স্কুলে আসেনা।কেউ তার বিষয়টা না ভাবলেও প্রেমিক পাগলার ঘুম ঠিকই রাতে আসে না।
অনেক চেষ্টা করেও জেরিনের খোঁজ মেলেনি। তাই স্কুলের সবাই শান্তকে দোসি করলো। হঠা একদিন স্কুলে আগমন হলো এক অপরুপ সুন্দর এক মেয়ে,নাম তার প্রিয়া। এই প্রিয়ার দিকে আমার মতো আরও দশটা ছেলে তাকে পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠে।
কিন্ত......এই প্রিয়ার চোখ সবসময় শান্তর দিকে। শান্ত যেমন জেরিনের পেছনেলেগে থাকতো। ঠিক তেমনি এই প্রিয়া শান্তর পেছনে লেগে থাকে। প্রথমে শান্তর সাথে বন্ধুভাব হয়। আস্তে আস্তে শান্তর অনেক কাছে যেতে চাইলেও শান্ত তাকে মেনে নিতে পারে না। এক সময় প্রিয়া শান্তকে ভালবাসার প্রস্তাব দেয়। কিন্ত....শান্তর জীবনে অন্য কেউ আছে....এমনটা বলে প্রিয়াকে আর পাত্তাদিতো না শান্ত। আজ ঠিক তেমনি তার মতো স্কুলের সবার সামনে প্রিয়া শান্তকে প্রপোজ করে। তাতে শান্ত না বলে দিলে..... প্রিয়া: কি ভাবো নিজেকে? শান্ত: একজন সাধারন মানুষ,আর তাছাড়া আমার জীবনে অন্য কেউ আছে। তোমাকে ভালবাসা আমার পক্ষে সম্ভব না। প্রিয়া: কে আছে,আজ এতদিন হলো শুধু শুনেই যাচ্ছি,কিন্ত কে স এখনো তার মুখটা পর্যন্ত দেখলাম না। সে যদি আর ফিরে না আসে? শান্ত: সে আমার জীবনে এসেছিলো, আমি তার জীবনে হয়তো কেউ ছিলাম না। সে আমাকে ভাল না ও বাসতে পারে। কিন্ত আমি তাকে কখনো ভুলে থাকতে পারবোনা। প্রিয়া: ও আচ্ছা.....আমি যদি বলি আমিও তোমাকে ভুলে থাকতে পারবোনা।সেটাকে তুমি কিভাবে দেখবে। শান্ত: তুমি শুধু শুধুই মরিচিকার পেছনে ছুটছো। আমার এ জীবন তাকে ছাড়া অস্মপুর্ন। প্রিয়া: তাহলে তোমার ভালবাসার কোন যোগ্যতায়
নেই।তুমি জানো তোমার মতো দশটা ছেলে আমার পেছনে পরে থাকে। তাদের বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা তোমার থেকে অনেক বেশি।তবুও আমি তোমাকে ভালবাসি আমাকে ফিরিয়ে দিও না প্লিজ......। শান্ত: হ্যা আমি অনেক ছোট.....তাই
তো কারও অবহেলা ছাড়া আমার জীবনে আর কিছুই নেই।দয়া করে আমার সামনে আর আসবেন না। এই বলে চলে যায় শান্ত।
.....আজ সাতদিন পর, জেরিন বোরকা পড়ে স্কুলে এসেছে। তাকে দেখেই শান্ত আত্বহারা। কিন্ত আজ তার জীবনে চরম একটা পরিক্ষা সেই দিনগুলো র মতো আজ সবাই একত্র হয়েছে। মাঝখানে তিনটি মানুষ একদিকে জেরিন এবং প্রিয়া। প্রিয়া: তোমার জেরিন কে নিয়ে এসেছি। জেরিন মুখের কাপড় টা খুলে দেয়। দিতেই সবাই চমকে যায়।ঠিক যেনো কোন কাজের মেয়ে। জেরিন: হ্যা,আমিই তোমার জেরিন। তোমাকে বলেছিলাম না আমি দেখতে খারাপ। প্রিয়া: এখন বলো,কার হাত ধরতে চাও,? সে সময় শান্তর দুনিয়াটা যেনো ঘুড়তে থাকলো। জেরিন যেমনি হোক না কেনো,তাকে তো ভালবাসি।কিন্ত আমার পরিবার তারা কি জেরিনকে মেনে নিবে। আর ভাবতে পারছেনা।ভালবাসা
জেরিন: ভাইয়া হাত ছাড়ুন শান্ত তো অবাক, কি? জেরিন: জ্বি, আমি জেরিন নই। ঐ প্রিয়া হলো তোমার জেরিন। তোমার ভালবাসা কে বাজিয়ে দেখতেই এই অভিনয়।আমি ওদের কাজের মেয়ে,সে আপনার সাথে এমন করছে.....আপনি যতটা কষ্ট পেয়েছেন, তার অধিক সে কষ্ট পেয়েছে। সে যখন রোজ স্কুলে আপনার সাথে অভিনয় করেছে.......বাসাতে ফিরে লুকিয়ে লুকিয়ে কাদে।শুধু আপনাকে কষ্ট দেয় বলেই। যান ওনার কাছে যান.....উনি আপনাকে অনেক ভালবাসে। শান্ত দৌড়ে গিয়ে জরিয়ে ধরলো।ধন্যবাদ কষ্টকরে পরার জন্য...
রাইটার
Asif Parvej
Nice
উত্তরমুছুনNiceeee
উত্তরমুছুনIts no copy so sweet
উত্তরমুছুন